ফুটবল মাঠে মারামারি, এক ম্যাচে ১৭ লাল কার্ড
ছিল একটি ফুটবল ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচ শেষে যেটি ঘটল এতে আর ফুটবল ম্যাচ থাকল না। বরং মুহূর্তেই পরিণত হলো একটি রেসলিং ম্যাচে। ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু কিরে কিলঘুষি, মাটিতে ফেলে লাথি সবই হলো।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ারশেল ছুঁড়তে হলো। এরপর রেফারির পকেট থেকে একে একে ১৭ বার বের হলো লালকার্ড। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে বলিভিয়ান কাপে রিয়াল অরুরো ও ব্লুমিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে।
অফিসিয়াল রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও স্টাফসহ ব্লুমিংয়ের ১০ জন ও অরুরোর ৭ জনকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। ঘটনা বহুল ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়। তবে দুই লেগের অগ্রগামিতায় ৪-৩ গোলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্লুমিং।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই অরুরো হারের হতাশা লুকিয়ে রাখতে না পেরে জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে।
ঘটনার সূত্রপাত অরুরোর খেলোয়াড় সেবাস্তিয়ান জেবালোসকে দিয়ে। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তুলেন তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের লাথিও দিতে থাকেন জেবালোস। তার সঙ্গে যোগ দেন সতীর্থ জুলিও ভিলা। তিনিও শুরু করেন মারামারি।
শুধু খেলোয়াড়রাই নয়। এই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন অরুরোর কোচ মার্সেলো রবলেদোও। তিনি চড়াও হন ব্লুমিং কোচের ওপর। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ব্লুমিং কোচিং স্টাফদের এক সদস্যের চোয়ালও ভেঙে গেছে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছিল। বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘এল পোতোসি’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বলিভিয়ার স্পোর্টস ডিসিপ্লিনারি কোর্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

স্পোর্টস ডেস্ক