পৃথিবীতে গ্রহাণুর ধেয়ে আসার সম্ভাবনা নেই : নাসা
গত শতকের ৬০-৭০-এর দশক থেকেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার গুজবের কমতি নেই। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গুজবটি হলো, পৃথিবীর দিকে বিশাল কোনো গ্রহাণু ছুটে আসছে, যা যেকোনো মুহূর্তে আছড়ে পড়বে ভূপৃষ্ঠের গায়ে, ঘটাবে মহাপ্রলয়।
তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এ জাতীয় গুজবের অসারতা প্রমাণিত হয়েছে, তবু গুজবের কমতি নাই। এই যেমন, কিছুদিন আগেই ব্লগ আর কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিশাল এক গ্রহাণুর ধেয়ে আসার খবর, যা ধ্বংস করে দেবে আমেরিকা মহাদেশের বেশির ভাগটাকেই। আর এই খবর জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ ডটএইউ।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া গুজবে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষের মধ্যে উত্তর আমেরিকার পুয়ের্তো রিকোতে আছড়ে পড়বে বিশাল সেই গ্রহাণু। অবশ্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা এই খবর নাকচ করে দিয়েছে।
সংস্থাটির জেট প্রোপালশান ল্যাব থেকে এই সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এমন কোনো গ্রহাণুর আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। ওই ল্যাবের ম্যানেজার পল কোডাস জানান, ‘যে গ্রহাণুগুলোকে কিছুটা হলেও বিপজ্জনক বলে মনে হয়, সেগুলোরও পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র শতকরা ০.০১ ভাগ। এ ছাড়া ওই মাপের কোনো বস্তু পৃথিবীতে আঘাত হানার মতো অবস্থায় থাকলে তা এতদিনে আমরা জানতে পারতাম। কাজেই এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই।’
পৃথিবী ধ্বংসের এমন গুজব ছড়িয়ে পড়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ২০১২ সালে মধ্য আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতা মায়াদের ক্যালেন্ডারে পৃথিবী ২০১২ সালে ধ্বংস হবে এমন উল্লেখ দেখে অনেকেই তা বিশ্বাস করে বসেছিলেন।

অমর্ত্য গালিব চৌধুরী