ফেসবুক সদর দপ্তরে মোদি যা বললেন
যুক্তরাষ্ট্রের মেনলো পার্কে অবস্থিত ফেসবুকের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার পর ফেসবুকের সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সেখানকার টাউন হলে বক্তব্য রাখেন মোদি। এর আগে মোদি এবং ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ—দুজনই ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেন। নিজের বক্তব্যের পর প্রায় ৫০ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন মোদি। উপস্থিত দর্শকের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাকারবার্গ। মোদির এই পরিদর্শনের খবর গুরুত্বসহকারে ছাপা হয়েছে দ্য ভার্জ, ম্যাশেবলসহ তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
টাউন হলের বক্তব্যে মোদি যা বলেছেন :
১. আমার স্বপ্ন হলো ভারতকে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়া।
২. সরকার তাদের কাজে গতি আনতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহায়তা নিতে পারে। এখানে তারা তাৎক্ষণিক তথ্য এবং প্রতিক্রিয়া পাবে, যা তাদের কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
৩. আমার তেমন লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমার মনে হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন লেখাপড়ার অনেক রকম সুযোগ তৈরি হয়েছে।
৪. ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমি একবার একটা উৎসবের সময় অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। তিনি হিন্দিতে আমার অভিনন্দনের জবাব দিয়েছিলেন। এটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর শক্তি।
৫. এটা সত্যি যে, ভারতে আমাদের দুটি দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া উচিত। একটি হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আরেকটি হচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন।
৬. অর্থের আসলে কোনো অভাব নেই। সমস্যাটা হচ্ছে বেশির ভাগ দেশই জানে না, কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে। আমি তাদের একটা ঠিকানা বলতে পারি, ভারত।
৭. ইন্টারনেট ভারতে হাইওয়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
৮. একটা স্কুটার চালু করতে মাত্র এক সেকেন্ড লাগে, কিন্তু ৪০ বগির একটা ট্রেন চালু হতে অনেক সময় লাগে। ভারত একটা বিশাল দেশ। এর পরিবর্তনের জন্য সময় প্রয়োজন।
৯. আমাদের সংসদে আরো বেশি নারীদের নিয়ে আসতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরো সংশ্লিষ্ট হবে।
১০. আমি সরকারকে হালকা করতে চাইছি। ডেমোগ্রাফি, ডেমোক্রেসি ও ডিমান্ড ছাড়াও আরেকটি ডি-তে আমি বেশি বিশ্বাস করি। সেটা হচ্ছে ডি-রেগুলেশন।

ফিচার ডেস্ক