মানুষ নিয়ে উড়বে ‘জায়ান্ট ড্রোন’
মানুষবিহীন বিমান বা দূরনিয়ন্ত্রিত বিমানকেই বলা হচ্ছে ড্রোন। এখন পর্যন্ত গোয়েন্দা নজরদারি, শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে হামলা এবং পণ্য পরিবহনে ড্রোন ব্যবহারের নজির দেখা গেছে। এবার সেই গবেষণাকে আরেকটু এগিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য ড্রোনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও তা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে এবং আরো অনেক গবেষণার কাজ বাকি রয়েছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, হোভারবোর্ডের পর ‘ফ্লাইং কার’ ছিল মানুষ পরিবহনের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রযুক্তি। তবে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের একদল প্রযুক্তিবিদ বলছেন, খুব শিগগির ড্রোনকে ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেবেন তাঁরা।
‘স্নোস্ট্রম’ নামে একটি প্রোটোটাইপ ড্রোন বানিয়েছেন তাঁরা, যেখানে তাঁরা দেখিয়েছেন একজন মানুষকে নিয়ে উড়তে সক্ষম হবে এই ড্রোন।
স্নোস্ট্রমকে বলা হচ্ছে জায়ান্ট ড্রোন, অর্থাৎ দানবাকৃতির ড্রোন। আপাতত একজন মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এতে। হেক্সাজোনাল ফ্রেমের ওপর এই ড্রোনকে চালাবে ২৪টি প্রোপেলার। ল্যান্ডিংয়ের জন্য রয়েছে ছয়টি ল্যান্ডিং বল, যা মাটিতে বা যেকোনো স্থানে ড্রোনটিকে নামতে সাহায্য করবে। বিদ্যুৎ চালিত প্রোটোটাইপ এই ড্রোন একজন মানুষের ডামি নিয়ে এখন সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট উড়তে পারে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের দলটি প্রাথমিকভাবে স্নোস্ট্রমের একটি ইনডোর ভার্সন তৈরি করে তা চালিয়ে দেখেছে। এর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দলটি। ড্রোন তৈরির এই প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. জর্জ ওয়েগল বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের তৈরি স্নোস্ট্রম একজন মানুষকে নিয়ে উড়তে পারবে এবং তাকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবে। এত দিন সিনেমায় এ ধরনের প্রযুক্তি দেখা গেলেও এবার বাস্তবেই এর দেখা মিলবে।’

ফাহিম ইবনে সারওয়ার