আফগানিস্তানের হেরাত শহরে নারীদের বিক্ষোভ
আফগানিস্তানের হেরাত শহরে চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। বৃহস্পতিবার এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন ৬০ থেকে ৮০ জন নারী। খবর আল জাজিরার।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর নারী শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তালেবানের নতুন সরকার গঠিত হলে নারী অধিকার আবারও খর্ব হতে পারে। অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
তালেবান নেতারা গত মাসে ক্ষমতা দখলের পর থেকে বার বার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নারী ও শিশু অধিকার সংরক্ষণের, তবে তা শরিয়া আইন অনুযায়ী। তারপরও আফগান নারীদের শঙ্কা আবারও সেই আগের মতো কঠোর নিয়ম চালু করতে পারে তালেবান।
আগস্টের শেষে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরির দায়িত্বে থাকা নারীরা যেন বাড়িতে থাকেন।
আফগানিস্তানে নতুন সরকারের ঘোষণা শিগগিরই আসতে পারে বলে উল্লেখ করে এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই বলেন, নতুন সরকারে নারীরা উচ্চ পর্যায়ে এখনই কাজ করার অনুমতি পাবেন না, তবে নিম্ন পর্যায়ে কাজ করার জন্য অনুমতি পেতে পারেন।
অনেক আফগান নাগরিক শঙ্কা প্রকাশ করেন তালেবানের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনের পুনরাবৃত্তি নিয়ে। ওই সময় ইসলামিক আইনের অজুহাতে প্রকাশ্যে শাস্তি ও নারী অধিকার ক্ষুণ্ণ করার বিস্তর অভিযোগ আছে তালেবানের বিরুদ্ধে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক