ইকুয়েডরে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
ইকুয়েডরের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। দুর্যোগের কয়েক দিন পরেও বেশ কিছু লোক নিখোঁজ থাকায় জরুরি উদ্ধার কর্মীরা এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো যতদিন প্রয়োজন ততদিন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৯ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
জীবিত কাউকে খুঁজে বের করার সম্ভাবনা কম হলেও উদ্ধারকারীরা রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে আলাউসি শহরের কিছু অংশে কাদা, মাটি ও গাছপালার নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৬৭ জনের সন্ধানে তাদের অক্লান্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সচিবালয় (এসএনজিআর) জানিয়েছে, রোববার গভীর রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ প্রায় ৪৫ হাজার বাসিন্দার অধ্যুসিত একটি জনপদেও ওপর ধসে পড়ে এবং এতে অন্তত ১৬৩টি বাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে অন্যান্য ভূমিধসের পর এলাকাটিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা করা হয়েছিল। সরকার ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২৪ হেক্টর এরও বেশি এলাকা জুড়ে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে এবং উক্ত এলাকা বা তার কাছাকাছি প্রায় ৬০০টি বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে একই অঞ্চলে ভূমিকম্পে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ভূমিধসের পর উদ্ধারকারীরা এবং আটকে পড়াদের স্বজনরা দিনরাত ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েক মাস ভারী বৃষ্টিপাতের পর সরকার গত সপ্তাহে দেশের ২৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৩টিতে দুই মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনরায় ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এসএনজিআরের তথ্য অনুসারে, বছরের শুরু থেকে ইকুয়েডরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং রোববারের ভূমিধসের আগে ছয় হাজার ৯০০ টিরও বেশি বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।