করোনার টিকা নিলেন ব্রিটিশ রানি ও প্রিন্স ফিলিপ
নভেল করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ। পারিবারিক চিকিৎসকের মাধ্যমে স্থানীয় সময় শনিবার তাঁরা টিকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সাধারণত রাজপরিবারের স্বাস্থ্যবিষয়ক খবর বাইরে প্রকাশ করা হয় না। বিবিসি জানিয়েছে, গুজব ঠেকাতে এবার রানি নিজেই চেয়েছেন তাঁদের টিকাগ্রহণের বিষয়টি যেন বাইরে প্রচার পায়।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ বছর বয়সী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী ৯৯ বছর বয়সী প্রিন্স ফিলিপও নিলেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ।
যুক্তরাজ্যের প্রথম দিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত মার্চে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স চার্লসের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি আইসোলেশনে ছিলেন। পরে প্রিন্স চার্লস জানিয়েছিলেন, তিনি ভাগ্যবান যে, তাঁর মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ ছিল।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকাদান শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অক্সফোর্ডের চার্চিল হাসপাতালে প্রথম টিকাগ্রহণ করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত মেনটেন্যান্স ম্যানেজার। ব্রায়ান পিনকার নামে ৮২ বছর বয়সী এ ব্রিটিশ নাগরিক একজন ডায়ালাইসিসের রোগী। অক্সফোর্ডের গবেষণায় উদ্ভাবিত এ টিকা নিতে পেরে তিনি গর্বিত বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন।
ব্রায়ান বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা সবাই আজ দারুণ উজ্জীবিত ছিলেন। এখন আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এ বছরের শেষে আমাদের ৪৮তম বিবাহবার্ষিকীর উদ্যাপনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে পারি।’
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এটাই আসল মুহূর্ত। আশা করছি, এই টিকার মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ করে সবাই সুস্থ থাকবেন।’