কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত ৪
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় আজ বুধবার (২২ মার্চ) ভোরের দিকের এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। রাশিয়া শান্তি আলোচনায় আগ্রহী নয় এই হামলার মাধ্যমে তারা সেটি বুঝিয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে কিয়েভের জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বলছে, কিয়েভের ৬৪ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দক্ষিণের এরজিউসচুভের দুটি ছাত্রাবাস ও একটি শিক্ষাকেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীর প্রধান অ্যান্দ্রি নেবিতভ বলেন, ‘ভোর ৩টার দিকের কয়েক দফা হামলায় ২০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। মারা গেছেন চারজন।’
প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ ড্রোন হামলায় পাঁচতলা বিশিষ্ট ছাত্রাবাসটির ওপরের তলার একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে। সাদা হেলমেট ও জ্যাকেট পড়ে উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজে দ্রুত নেমে পড়েন। এরপরেও ওই ভবনে হামলা চালায় রাশিয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে পুলিশ প্রধান অ্যান্দ্রি নেবিতভ লেখেন, ‘শত্রুরা আবার বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। নিরীহ মানুষেরা মারা যাচ্ছে। আমরা শুধু দেখে যাচ্ছি।’ নেবিতভ জানান, রুশ ড্রোন হামলায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক আহত হয়েছেন যিনি কি না আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছিলেন।
এদিকে, হামলায় রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘বুধবার ভোরে ২০টির বেশি ইরানি শাহেদ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শান্তি ফেরানো নিয়ে যখন কেউ তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই, ঠিক তখনই তারা অপরাধমূলক হামলা চালায়।’
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ২১টি ইরানি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ১৬টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে তারা। সর্বশেষ হামলা বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।