ক্ষীণ নতুন প্রাণের সম্ভাবনা, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
তুরস্কের দুই দফা ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। গত সপ্তাহের সোমবার সাত দশমিক আট ও সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। দেশটিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে আটকা জীবিতদের। যদিও এখন আর নতুন কোনো জীবন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। তারপরও বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশ যৌথ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের বিপর্যয়ে উদ্ধার পর্ব প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
তুরস্কের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দেশটির ইতিহাসের শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে অভিহিত করা হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে নিহতের সংখ্যা সোমবার রাত পর্যন্ত ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
যুদ্ধ ও ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহর। সেখানে গতকাল ছিলেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ। তিনি বলেছেন, ‘উদ্ধারের পর্যায় শেষ হয়ে আসছে। এখন আমাদের আশ্রয়, খাবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
তুরস্কের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পোল্যান্ডের একটি উদ্ধারকারী দল। ভূমিকম্পের সাত দিনের মাথায়ও তারা জীবিত কয়েকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের উদ্ধার করার পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা। এই উদ্ধারকারী দলটি আগামী বুধবার নিজের দেশে ফিরে যাবে।
এদিকে, শ্লথ গতির উদ্ধারকাজের জন্য অনেকে এরদোয়ান সরকারকে অভিযুক্ত করছে।
সোমবার তুর্কি শহর আদিয়ামান থেকে মিরায় নামে এক শিশু ও ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আনতাকিয়ায় ধসে পড়া ভবনের রড কেটে আরও এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। যখন ওই নারীকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়, তখন উদ্ধারকারীরা উল্লাস করেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ইস্তানবুলের মেয়র। আর আনতাকিয়া থেকে আরও এক নারী ও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কির সংবাদপত্র হাবেরতুর্ক।