ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান-ইরানে নিহত ১০, সৌদি-দুবাইতে সতর্কতা
ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান ও ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইরানে মারা গেছে ছয়জন ও ওমানে তিনজন। তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ওমানে শিশুসহ অন্তত চারজন মারা গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি ওমানে আঘাত হানার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
আমিরাতের পুলিশ সমুদ্র সৈকত ও বিভিন্ন উপত্যকা বিশেষ করে যেসব এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে টহল জোরদার করেছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওমান সীমান্তের আল-আইনে সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের দূরবর্তীস্থান থেকে কাজ করার পাশাপাশি উপকূলীয় বাসিন্দাদের জরুরি অবস্থা ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ তীব্র বাতাস এবং সম্ভাব্য বন্যার আশঙ্কায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় শাহীন ওমান-ইরানে আঘাত হানে গতকাল রোববার। প্রচণ্ড বাতাস ও প্রবল বৃষ্টির কারণে ওমানের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে সেখান থেকে উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে রাজধানী মাসকটের কিছু ফ্লাইট।
ওমানের জাতীয় জরুরি কমিটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর পূর্বে আল-কুরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে সহায়তা সংস্থাগুলো দুই হাজার সাতশর বেশি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে।