নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, শঙ্কার মুখে ইসরায়েলের নেতৃত্ব
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে পড়ে শোনান দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আবিসাই মান্দেলব্লিট। সেখানে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে দুই লাখ ৬৪ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের জিনিস নিয়েছেন। দেশটির একটি পত্রিকায় এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করা হলে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিষয়টি।
এ অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১০ ও সর্বনিম্ন চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
অবশ্য নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি একে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কিছু মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়াননি তিনি।
তিনটি আলাদা ঘটনায় ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের মতো কাজ করেছেন—নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এমন পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর শঙ্কার মুখে পড়েছে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। নব্বইয়ের দশকেও একবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অনলাইন ডেস্ক