যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনের গুপ্তচর বেলুন : পেন্টাগন
চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন সর্বশেষ কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ দাবি করে তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টিনিও ব্লিনকেনের বেইজিং সফরের কয়েকদিন আগেই এমনটি হলো। এতে করে দুদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি উচ্চ প্রযুক্তির একটি নজরদারি বেলুন শনাক্ত করেছে। এটি এখনও আমাদের মহাদেশীয় অঞ্চলে রয়েছে। বেলুনটি বর্তমানে বাণিজ্যিক এয়ার ট্র্যাফিকের ওপরের একটি উচ্চতায় রয়েছে। মাটিতে থাকা লোকদের জন্য সামরিক বা শারীরিক হুমকি উপস্থাপন করছে না।’
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ বলছে, যুদ্ধবিমান দিয়ে বেলুনটি ধ্বংস করার কথা চিন্তা করা হয়। তবে, জানমালের হুমকি বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক উপদেষ্টা বেলুনটি ধ্বংস না করার পরামর্শ দেন। এতে বাইডেনও সায় দেন।
নাম প্রকাশ করার না শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশের পর থেকে একটি উড়োজাহাজ দিয়ে এটির ওপর নজরদারি রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
এদিকে, কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও গুপ্তচর বেলুনটি নিয়ে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, উচ্চ প্রযুক্তি সম্পৃক্ত একটি গুপ্তচর বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে। বেলুনটির ওপর নজদারি রাখা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা হচ্ছে।
চীনা গুপ্তচর বেলুনটির বিষয়টি প্রথমে সামনে আনেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক ইউলিয়াম বার্নস। ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে তিনি গুপ্তচর বেলুনটিকে ‘সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে আখ্যা দেন।
বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র মাও নিন বলেন, ‘বেইজিং বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’
চীন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে না জানিয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাও নিন বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত বিষয়টি স্পষ্ট হবে না, ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত এটি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো সুখকর হবে না। কোনো স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ইচ্ছে নেই চীনের।’
রয়টার্স বলছে, আগামী সপ্তাহেই বেইজিং সফরে যাবেন ব্লিনকেন। এর আগে গুপ্তচর বেলুন সফরকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা দেখার বিষয়।