স্বামী বিদেশ, লটারি জিতেই স্ত্রীর অন্য বিয়ে!
লটারি জিতেছিল এক নারী। এতেই কোটিপতি হয়ে পড়েন ওই নারী। এরপরেই নিজের মধ্যে আনেন পরিবর্তন। বিদেশে অবস্থানরত স্বামীকে না জানিয়েই করেন আরেক বিয়ে। দেশে এসে এ খবরে বিগড়ে বসেন প্রবাসী স্বামী। নারীর বিরুদ্ধে করেন মামলা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ঘটেছে এই ঘটনা। আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের এক নারী এক কোটি ২০ লাখ বাথের (থাইল্যান্ডের মুদ্রা) লটারি জিতলেও তার স্বামীকে এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। এমনকি, লটারি জেতার পরই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানার পর ওই নারীর স্বামী ৪৭ বছর বয়সী নারিন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই নারীকে ২০ বছর আগে বিয়ে করেন নারিন। এমনকি, তাদের ঘরে তিনটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম থাইগারের বরাতে এনডিটিভি বলছে, ২০ লাখ বাথের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১৪ সালে স্ত্রীসহ দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান নারিন। সেখানে কাজ করে ধীরে ধীরে দেনা শোধ করছিলেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার কিছুদিন পরেই দেশে ফিরে আসেন নারিনের স্ত্রী। সংসার ও স্ত্রীর খরচ বাবদ প্রতি মাসে ২৭ থেকে ৩০ হাজার বাথ করে পাঠাচ্ছিলেন নারিন। এরপরেও ঘটে বিপত্তি।
দেশে ফিরে চাউইওয়ান এক কোটি ২০ লাখ বাথের লটারি জিতলেও নারিনকে বিষয়টি জানাননি। এমনকি, স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন চাউওয়ান। অবশেষে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত ৩ মার্চ থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন নারিন। দেশে এসেই তিনি দেখেন, তার স্ত্রী এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছেন।
নারিন বলেন, ‘দেশে এসে আমি চমকে যায়। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না। সে ২০ বছরের সংসার নষ্ট করবে, আমি বুঝতে পারিনি। আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫০ হাজার বাথ রয়েছে। প্রতি মাসে আমি তাকে অর্থ পাঠাতাম। আমি আজ নিঃস্ব। আমি এর বিচার চাই।’
চাউইওয়ানের দাবি, লটারি জেতার কয়েক বছর আগেই তিনি নারিনের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেন এবং নিজের প্রেমিককে বিয়ে করেন। তবে, নারিনের দাবি, ডিভোর্স নিয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না।
এনডিটিভি বলছে, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।