লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে একহাত নিলেন ট্রাম্পপুত্র
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সন্ত্রাসীয় হামলায় পুলিশসহ নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি লন্ডনে। সন্ত্রাসী হামলার সমালোচনায় মুখর বিশ্ববাসীও। এর মধ্যেই নগরীর মেয়র সাদিক খানকে একহাত নিলেন ট্রাম্পের ছেলে জুনিয়র ট্রাম্প।
নিজের টুইটারে সাদিক খানকে ব্যঙ্গ করে জুনিয়র ট্রাম্প লেখেন, ‘তুমি আমার সঙ্গে মশকরা করছ?’ এর পর সাদিক খানের বক্তব্যের একটি অংশ তুলে ধরে জুনিয়র ট্রাম্প লেখেন, ‘একটি বড় শহরে সন্ত্রাসী হামলা বসবাসেরই অংশ : সাদিক খান।‘
এর আগে ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের পাশের শহর চেলসিয়ায় বোমা হামলার পর সাদিক খান বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার জন্য তৈরি থাকাটাও একটি বড় শহরে জীবনযাত্রার স্বাভাবিক অংশ। লন্ডনও এ জন্য প্রস্তুত। যথার্থ সতর্কতা অবলম্বন করেই লন্ডন টিকে আছে।’
সাদিক খানের ওই বক্তব্যকে ব্যঙ্গ করেই লন্ডনে হামলার পর সাদিককে একহাত নিলেন ট্রাম্পপুত্র।
সিএনএনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর হোয়াইট হাউসের রাজনৈতিক বিষয়ে জুনিয়র ট্রাম্প কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করেননি। এমনকি বাবার নির্বাচনী প্রচারের সময় নিজের টুইটারে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বললেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি টুইটারেও সচল ছিলেন না। অনেক দিন পরে বুধবার লন্ডনে হামলার পর সাদিক খানকে তিরস্কার করে টুইট করেন ট্রাম্প জুনিয়র।
এদিকে, ট্রাম্প জুনিয়রের এই বিদ্রূপপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন ব্রিটিশরা। লন্ডনের মেয়রের পাশে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশরা উত্তর দিয়েছেন ট্রাম্প জুনিয়রের টুইটের।
লন্ডনের বাসিন্দা গ্যারেথ হেথি রিটুইটে লেখেন, কাউকে লন্ডনের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁচা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ শহর ঐতিহ্যের শহর। এ হামলার রেশ কাটিয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন শহরগুলোর অন্যতম লন্ডন।
তবে ট্রাম্প জুনিয়র ব্যঙ্গ করলেও ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাজ্যের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার কিছুক্ষণ পরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি এ সময় এই কঠিন সময়ে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।