সেনাবাহিনীর সমালোচনা করায় অভিযুক্ত মিয়ানমারের চলচ্চিত্র নির্মাতা
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে নিয়ে সমালোচনা করে ১০টি পোস্ট দেওয়ায় দেশটির চলচ্চিত্র নির্মাতা মিন হতিন কো কো গেয়িকে তিন মাস আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর এবার তাঁকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আদালত।
এক সেনা কর্মকর্তার করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই সেনা কর্মকর্তা অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে হতিনের দেওয়া মোট ১০টি ফেসবুক পোস্টও উপস্থাপন করেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএ এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার ক্যানসার আক্রান্ত হতিনের শারীরিক অবস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন টাউন শিপ আদালতের বিচারক তাঁকে অভিযুক্ত করেন।
পরিচালক হতিন আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক একটি চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালনা করেন।
হতিনের সেই ১০টি পোস্টে দেখা যায়, হতিন দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং ২০০৮ সালে মিয়ানমারে প্রণীত সংবিধান নিয়ে সমালোচনা করেছেন। সেনাবাহিনী প্রণীত সেই সংবিধান বর্তমানে সংশোধনের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।
এদিকে মিয়ানমারের পেনাল কোডের ৫০৫(এ) ধারা অনুযায়ী পরিচালক হতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইনের এই ধারাটিতে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বক্তব্য যদি দেশের সেনাবাহিনী অথবা অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদ্রোহে প্ররোচিত কিংবা হেয়প্রতিপন্ন করে অথবা তাকে কর্তব্য পালনে বাধা দেয়, তাহলে ওই মন্তব্যকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
যদিও পরিচালক হতিন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ নাকচ করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।