ভূমধ্যসাগরে ছয় মাসে মারা গেছে ২৮৯ শিশু
একটু ভালো থাকা ও আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় অবৈধভাবে সাগরপথে ইউরোপের পাড়ি দেয় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের আশা পূরণ হয় না। নৌকাডুবি বা অন্যান্য কারণে সাগরে মারা যাচ্ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশে ভূমধ্যসাগর রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এই রুটে হরহামেশাই ঘটছে নৌকাডুবির ঘটনা। এতে মারা যাচ্ছে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী। মৃত্যুর সংখ্যায় কম নেই শিশুরাও। শুধুমাত্র চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মারা গেছে ২৮৯ শিশু। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) জাতিসংঘ থেকে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে যত শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে তা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক শিশুদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও বৈধভাবে প্রবেশের জন্য সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউনিসেফ শিশু মৃত্যুর যে সংখ্যাটি প্রকাশ করেছে সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন সংস্থাটির অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুত বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া ভেরেনা নাউস। তার মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ভেরেনা নাউস বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কত শিশু মারা গেছে তা জানা কষ্টসাধ্য। এই সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, অনেক নৌকাডুবিতে একজনও বেঁচে নেই এমনও হয়েছে। সেসব নৌকায় মৃত্যুর বিষয়টি পরিসংখ্যানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।’
এই ভেরেনা নাউস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১১ হাজার ৬০০ শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।’
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ভূমধ্যসাগর রুট দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে তিন হাজার ৩০০ শিশু। যা এ সময়ে পাড়ি দেওয়া মোট শিশুর ৭১ শতাংশ। এই সংখ্যা আগের বছরের অর্থাৎ, ২০২২ সালেরও প্রথম তিন মাসের তুলনায় তিনগুণ বেশি।
ভেরেনা নাউস বলেন, ‘শিশুদের জীবন রক্ষার্থে শিগগিরেই পদক্ষেপ নিতে হবে বিশ্ব নেতাদের। শুধুমাত্র সমবেদনাই এর সঠিক সমাধান নয়।’