ইসরায়েলে হামলায় নিহত বেড়ে ছয় শতাধিক
ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় শতাধিক ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত দুই হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি। ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। তবে, হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সেখানেও আহতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মেগানে এখনও দুপক্ষের সম্মুখ যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলে গণমাধ্যম দ্য টামস অব ইসরায়েল বলছে, মেগানে তীব্র গোলাগুলি চলছে। ট্যাংক থেকেও গোলা ছোঁড়া হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা যুদ্ধ ঘোষণার অনুমোদন দিয়েছে। আজ দেশটির মন্ত্রিসভা থেকে বলা হয়, মৌলিক আইনের ৪০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৪০ অনুচ্ছেদ সরকারকে উল্লেখযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়ার অনুমতি দেয়।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, সংঘর্ষের জেরে ইসরায়েলের সমস্ত স্কুল দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ইয়োভ কিশ বলেন, ‘সোমবার ও মঙ্গলবার দেশের সমস্ত স্কুলসহ দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমই বন্ধ থাকবে।’
হামলা পাল্টা হামলার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েল। এর শুরুটা হয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার মাধ্যমে। শনিবার সকালে (৭ অক্টোবর) সকালের দিকে ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। পাশাপাশি একটি ইসরায়েলি বসতিতে ঢুকে পড়ে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। আর এতেই প্রাণ হারান অনেকে। আর হামাসের অনবরত রকেট হামলার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহর।
হামাসের আকস্মিক হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েল। পাল্টা আক্রমণও শুরু করে তারা। গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একের পর এক বিমান হামলা চালায় তারা। এতে রক্তাক্ত হয় গাজা ও পশ্চিম তীর।
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উত্তরের এলাকা পর্যন্ত রকেট হামলা চালায় হামাস। এ ছাড়া ইসরায়েলের দক্ষিণেও তাদের যোদ্ধাদের পাঠায় সংগঠনটি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায় হামাসের যোদ্ধারা সিদেরত শহরে পথচারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করছে। ইসরায়েলিদের বেশকিছু জমায়েত কেন্দ্রেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হামাস।
এ ছাড়া ইসরায়েলের বেশকিছু রাস্তায় বন্দুকধারীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কাফার আজা, সিদেরত, সুফা, নাহাল ওজ, মাগেন, বেইরি নামের ছোট ছোট শহরে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, রেইম সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা করে হামাস।