গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে শিশু মারা যাচ্ছে : ডব্লিউএইচও
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত এক মাস পেরিয়েছে। এখনও গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে করে নিহত ও আহতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গাজার চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্মুখীন হয়েছে। ফিলিস্তিনের উপত্যকাটি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা ইস্যুতে কথা বলেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান। তেদরোস বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিয়া (অবশ করার ওষুধ) ছাড়াই গাজার হাসপাতালগুলোতে অপারেশন করা হচ্ছে। সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে শিশু মারা যাচ্ছে। গাজার কোনো অংশই এখন নিরাপদ না।’
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ২৫০টিরও বেশি হামলা হয়েছে। আর ইসরায়েলের স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ২৫টি হামলা চালানো হয়েছে। এই সংঘাতে আমরা আমাদের শতাধিক সহকর্মীকে হারিয়েছি।’
তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘গাজার ৩৬টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ কাজ করতে পারছে না। আর বর্তমানে যারা কাজ করছে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
এদিকে, ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতের পরিসংখ্যানে পরিবর্তন এনেছে। দেশটি জানায়, ওই হামলায় এক হাজার ৪০০ নয়, মোট এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, শনাক্ত করা যায়নি এমন কিছু মরদেহ সন্ত্রাসীদের বলে ধারণা করছেন তারা।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ৫০০ জনই শিশু।