মাদক পাচারের দায়ে ভিয়েতনামে ১৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নাগরিকসহ মোট ১৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ভিয়েতনামের একটি আদালত। মাদক চোরাচালান ও পাচারের মামলায় তাদের এই সাজা দেওয়া হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আজ রোববার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, কমিউনিস্ট দেশ ভিয়েতনাম। দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মাদক আইন রয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের গোপনীয়তা রয়েছে।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হো চি মিন শহরে চার দিনের শুনানি শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কিম সন-সিক (৩০) ও কাং সিওন-হুককে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চীনের নাগরিরক লি তিয়ান গুয়ান (৫৮) ও অবৈধ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া লি হো ভুকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ১৪ জনকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে।
চোং আন নাহন দান নামের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই একটি গ্রুপের সদস্য। ২০২০ সালের মে থেকে জুন মাসের মধ্যে গ্রুপটি ২১৬ কেজিরও বেশি মাদক মজুত ও পাচার করেছে। এর মধ্যে ১৬৮ কেজি (৩৭০ পাউন্ড) মাদক জব্দ করা হয়েছে। তবে, মাদকগুলো কোন ধরনের তা জানায়নি তারা।
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, কম্বোডিয়া থেকে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে মাদক পাচার হয়। আর অল্প কিছু মাদক দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পাচার হয়। কিছু মাদক দেশটিতেই ব্যবহৃত হয়।
গত ১৯ জুলাই হু মিন মিন শহরে একটি অভিযান চালায় দেশটির কর্মকর্তারা। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া একটি কন্টেইনার তল্লাশি করে তারা। কন্টেইনারের ভেতরে ৪০টি প্লাস্টিক ব্যাগে ক্রিস্টাল ও ৩৯ দশমিক পাঁচ কেজি মেথাফেটামাইন জব্দ করা হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ১৭ জনকে মাদকের কারবার, পাচার ও এই কাজে সংগঠনের নাম ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। একই মামলায় আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে ১৫ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, মাদক সম্পর্কিত মামলায় হরহামেশাই মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে থাকে ভিয়েতনামের আদালতগুলো। ফাঁসির রায় কার্যকরে দেশটি বিশ্বের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটির তথ্যমতে, গত বছর ভিয়েতনামে শতাধিক আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়।