ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ রাশিয়ার বিরুদ্ধে
ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর জন্য রাশিয়ার দিকেই আঙুল তুলছে তারা। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রীকে হত্যা করতে রাশিয়া বিষ প্রয়োগ করেছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রী ও কিয়েভের মেয়রের উপদেষ্টা মারিয়ান্না বুদানোভাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ এএফপিকে বলেন, ইউক্রেনীয় অনুসন্ধানকারীদের অনুমান, বুদানোভাকে বিষ প্রয়োগের চেষ্টায় জড়িত ছিল রাশিয়া। মুখপাত্র বলেন, ‘তাদের মূল লক্ষ্য ছিল কমান্ডারের স্ত্রী। কমান্ডারের কাছে সরাসারি পৌঁছানো তাদের কাছে ছিল অসম্ভব। তাই তারা এই পন্থা অবলম্ভন করতে পারে।’
এ বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েও পায়নি এএফপি।
ইউসভ বলেন, ‘হামলায় পারদ, আর্সেনিক ও অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউক্রেনের গণমাধ্যম বাবেল জানায়, এ ঘটনাকে হত্যার চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করে তদন্ত শুরু করেছে কিয়েভ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র এএফপিকে বাবেলের প্রতিবেদনকে সঠিক বলে জানিয়েছে এবং বলেছে, বুদানোভাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ওই সূত্র বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছে।
বাবেল জানিয়েছে, বুদানোভার শরীরে পাওয়া পদার্থগুলো সাধারণ জীবন বা সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয় না। পদার্থগুলোর উপস্থিতি ইচ্ছাকৃত বিষ প্রয়োগের প্রচেষ্টা নির্দেশ করতে পারে। বিষ প্রয়োগের কারণে আরও কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এএফপি জানিয়েছে, বুদানোভার শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে, কবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বা কবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তা জানা যায়নি। ওই সূত্র বলেন, আমি আপনাকে এখন ঠিক সময়ের কথা বলতে পারব না।
ইউক্রেনের গণমাধ্যম ইউক্রেনস্কা প্রাভদা নিজেদের প্রতিবেদনে জানায়, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, খাবারের মাধ্যমেই বুদানোভাকে বিষ দেওয়া হয়েছিল।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ নতুন নয়। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। ২০১৮ সালে রাশিয়ার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার মেয়েকে যুক্তরাজ্যে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল মস্কোর বিরুদ্ধে।