লেবাননে ফের মন্দা আনতে পারে গাজা যুদ্ধ : বিশ্বব্যাংক
দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে রয়েছে লেবাননের অর্থনীতি। আর এই সংকট আরও বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৈশ্বিক সংস্থাটি থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বলা হয়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য লেবাননের পর্যটন খাতে আয় সংকীর্ণ হচ্ছে। আর এতেই লেবাননের অর্থনীতি মন্দার দিকে চলে যেতে পারে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়, যা চলমান। এই সংঘাতে হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে তেহরান সমর্থিত লেবাননের শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে নিয়মিত গুলি বিনিময় হচ্ছে। আর এমনটি হচ্ছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে।
বিশ্ব ব্যাংক এক প্রতিবেদনে বলছে, সংঘাতের সরাসরি প্রভাব পড়ছে লেবাননের অর্থনীতিতে। দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা এই অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে।
২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে লেবাননের অর্থনীতি প্রসারিত হবে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। বৈশ্বিক সংস্থাটি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ প্রসারণের কথা জানিয়েছিল। পর্যটন খাত ও প্রবাসী আয়ের ওপর ভিত্তি করেই অর্থনীতির প্রসারিতের পূর্ভাবাস দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংক বলছে, গাজার সহিংসতা লেবাননে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কা আরও বাড়ছে। আর এতেই দেশটিতে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ক্রমশ হ্রাস হচ্ছে। এমনটি হতে থাকলে দেশটির অর্থনীতি ফের মন্দায় চলে যেতে পারে।
বৈশ্বিক সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পর্যটন খাতে ধাক্কার কারণে লেবাননের অর্থনীতি সংকুচিত হবে। গাজা যুদ্ধের কারণে লেবাননের অর্ধেকেরও বেশি পর্যটক তাদের শীতকালীন ভ্রমণের রিজারভেশন বাতিল করেছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এমতাবস্থা চলতে থাকলে পর্যটন খাত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে না।