ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবারও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে ইরান সমর্থিত হুতিরা আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড। খবর এএফপির।
ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলা চালানোর একদিন পর হুতিদের রাডার স্থাপনায় এই হামলা চালানো হলো। ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আরও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মাঝেই নতুন করে ইয়েমেনে উত্তেজনার সৃষ্টি হলো।
ইরান সমর্থিত হুতিদের গণমাধ্যম জানায়, ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজধানী সানার আল-দাইলামি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
ইয়েমেনে প্রথমবার হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দেয় হুতি বিদ্রোহীরা। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানাতে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুতিরা।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের আট মিত্র দেশের সমর্থনে লোহিত সাগরে উত্তেজনা কমাতে ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে হুতিরা তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে হুতি বিদ্রোহীদের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আল-ইজ্জি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইরান সমর্থিত ‘প্রতিরোধ অক্ষে’র একটি অংশ হিসেবে কাজ করছে হুতিরা।
এদিকে, গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন, লেবানন, ইরাক ও সিরিয়ায়। সহিংসতা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা তাৎক্ষণিক বন্ধের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।