মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হয়েছে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ
মালিকপক্ষ মুক্তিপণ দেওয়ার পরই সোমালীয় জলদস্যুরা বাংলাদেশি পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি দিয়েছে। আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) জাহাজটির মালিকপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পথে এক মাস আগে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দখলে নেয় জলদস্যুরা। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়ার উপকূল থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল।
লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোতে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণে এডেন উপসাগর থেকে আন্তর্জাতিক নৌ বাহিনীকে সরিয়ে সেখানে নেওয়ার কারণে ওই এলাকায় সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের একজন মুখপাত্র জানান, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কেএসআরএমের জাহাজ চলাচলবিষয়ক কোম্পানি এস আর শিপিংয়ের পক্ষে মিজানুল ইসলাম নামের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জলদস্যুদের সঙ্গে আমরা চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা মুক্তিপণের অর্থের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছি না। তবে জাহাজের সব নাবিক এখন নিরাপদ রয়েছেন।’
২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে জাহাজ ছিনতাইয়ের এটিই সর্বশেষ ঘটনা। গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর হুতি বিদ্রোহীরা এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি ও তাদের মিত্রদের জাহাজে বেশ কিছু হামলা চালায়। ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানায় হুতিরা। আর এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজকে এই এলাকায় নিরাপত্তায় সরিয়ে আনা হয়। আর এরপর থেকেই ভারত মহাসাগরে আবারও তৎপর হয়ে ওঠে জলদস্যুরা। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও সেশেলসের নৌবাহিনী এরপর থেকেই বেশকিছু মাছ ধরা জাহাজ তাদের কবল থেকে মুক্ত করে।
গত মাসে ভারতীয় নৌকমান্ডোরা মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামে একটি জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করে এবং জলদস্যুদের আটক করে। অভিযানে ১৭ জন নাবিককে মুক্ত করার পাশাপাশি ৩৫ জন জলদস্যুকে বিচারের জন্য মুম্বাই নিয়ে আসে ভারতীয় নৌবাহিনী।