হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার
গত সপ্তাহে আততায়ীর হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠটির রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। তেহরানে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কারণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকির মুখে হামাসের নেতা নিয়োগের এই ঘোষণা এলো। খবর এএফপির।
ইরান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞা করেছে। অন্যদিকে, হামাসের লেবাননি মিত্র হিজবুল্লাহ হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি ইসরায়েলের হামলায় বৈরুতে তাদের সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলার প্রতিজ্ঞা করেছে।
ইসমাইল হানিয়া কাতারে অবস্থান করায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় হামাসের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ২০১৭ সাল থেকে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে সিনওয়ার ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংগঠনটির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর এক বার্তায় সিনওয়ার প্রতিরোধ আন্দোলনে সংগ্রামের পথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন ফাতাহ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জিবরিল রজব এই নিয়োগকে ‘যৌক্তিক ও কাঙ্ক্ষিত’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফাতাহ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ সংগঠনটি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছে, হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে শত্রুরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতির প্রশ্নে হানিয়ার চেয়ে আরও বেশি অনাগ্রহী হবেন।