গাজায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিল ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা
ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভায় আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোটাভুটির মাধ্যমে গাজা অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দি মুক্তির চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে। এই সপ্তাহ শেষেই চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
তবে, চূড়ান্ত সবুজ সংকেত পেতে এই চুক্তিটির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে। যদি সেখান থেকে তা অনুমোদিত হয় তবে গাজার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি এই যুদ্ধে লড়াই থামবে, বন্ধ হবে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে উপত্যকাটিতে পণবন্দি হিসেবে আটক লোকজনকে মুক্তির বিষয়টি আগামী রোববার থেকেই কার্যকর হতে পারে। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত এই চুক্তির আলোকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে শতশত ফিলিস্তিনি নাগরিক মুক্ত হবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেছে অনেক ফিলিস্তিনির। এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা জুড়ে ৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিনের শেষভাগে এই চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিন থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত চুক্তিটি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন জোগাবে। অফিস থেকে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সরকারকে চুক্তি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে।
এর আগে নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়েছিল, রোববার থেকে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়টি শুরু হবে।
এদিকে, এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী উদগ্রীব হয়ে আছে তাদের ভিটেমাটিতে ফেরার জন্য।
গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে শহরে ফিরতে আকুল নাসর আল-ঘারাবলি নামের এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আমি আমার মাটির বুকে চুমু দিতে চাই, বাস্তুচ্যুত হয়ে থাকার চাইতে নিজের ভূখণ্ডে মৃত্যুও আমার কাছে শ্রেয়।’