বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে ট্রাম্প-মাস্ক শিবিরের তীব্র আক্রমণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় বড় নীতি বাস্তবায়নে বাধা দেওয়া বিচারকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ইলন মাস্ক ও তার মিত্ররা। বিশেষ করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের মতো ইস্যুতে আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাস্ক ও ট্রাম্প উভয়েই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে ‘বিচারিক অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ইলন মাস্ক তার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমরা এই অযোগ্য বিচারককে অপসারণের অন্তত চেষ্টা করে দেখতে পারি। আজীবন বিচারকের পদ ধরে রাখার ধারণা হাস্যকর!’ মাস্কের ২১ দশমিক ৭ কোটি অনুসারীর উদ্দেশে করা এই পোস্টে মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি তার ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে।
ট্রাম্পও মঙ্গলবার বিচারকদের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি দূর করতে চাই। কিন্তু কিছু বিচারক যেন এটা চান না। তাই হয়তো আমাদের বিচারকদের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘এসব বেআইনি রায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ধারাবাহিক অংশ।’
মার্কিন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে এমন আক্রমণের ফলে দেশটির সংবিধানিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে জানিয়েছে, বিচার বিভাগের ওপর এই ধরনের আক্রমণ মার্কিন সাংবিধানিক ব্যবস্থার ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ট্রাম্প শিবিরের এই অবস্থানের মধ্যেই রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলি বিচার বিভাগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘আপনি মনে করতে পারেন, এটি ভুল রায়। তবে আইন আইনই।’
বিচারকদের বিরুদ্ধে মাস্কের আক্রমণ এবং ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান মার্কিন বিচার ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক