‘নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড’ পুনর্গঠন মোদির, নেতৃত্বে র-এর সাবেক প্রধান

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড (নাসাব)-কে ঢেলে সাজিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পুনর্গঠিত বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখা (র)-এর সাবেক প্রধান অলোক জোশী। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং বেসামরিক প্রশাসনের বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ সাবেক কর্মকর্তাকে নিয়ে সাত সদস্যের এই নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন—সাবেক পশ্চিমা বিমান প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিনহা, সাবেক দক্ষিণ সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে সিং এবং সামরিক পরিষেবা থেকে অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না।
এ ছাড়াও, ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস)-এর দুই সাবেক কর্মকর্তা রাজীব রঞ্জন ভার্মা এবং মনমোহন সিং বোর্ডে প্রতিনিধিত্ব করছেন। সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা (আইএফএস) কর্মকর্তা বি ভেঙ্কটেশ ভার্মাও এই বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় একজন নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জনের প্রাণহানি এবং বহু লোক আহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, নাসাব হল সরকারের বাইরের বিশিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। এর সদস্যরা সাধারণত সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে, বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিসি)-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানিয়েছে। সিসিসি বৈঠকের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাজনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিপিএ) এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিইএ)-এর বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদার দক্ষতা এবং সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। ভারত তার সামরিক প্রতিক্রিয়ার ধরন, লক্ষ্যবস্তু এবং সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে।