ইসরায়েলের দখলে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার প্রায় ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি মিডিয়া অফিস। এই দখলকে তারা ‘অব্যাহত গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার ‘পুরো নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার যে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, সেটি এখন বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গাজা উপত্যকার বিশাল ভূখণ্ড ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ফলে গাজার বিশাল একটি অংশ থেকে ফিলিস্তিনিরা বিতাড়িত হয়ে একটি ক্ষুদ্র এলাকার মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাংবাদিক হাসান মাজদি আবু ওয়ার্দা এবং তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (২৫ মে) থেকে ইসরায়েল ১০০টি ট্রাক ত্রাণ বহনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মানুষের জন্য এই পরিমাণ ত্রাণ একেবারেই অপ্রতুল। গাজায় খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের অবরোধের ফলে সেখানে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে, যা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন।

তবে, সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে, হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করা হয়েছিল।
হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও ইসরায়েল হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।