ট্রাম্পের ইরান হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। তারা এই হামলার বৈধতা নিয়েও কথা বলছেন। খবর আল জাজিরার।
মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাটিক হুইপ ডিক ডারবিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে নির্ধারিত ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
ডিক ডারবিন বলেন, “ইরানে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের মুখোমুখি করে ফেলেছেন, যা কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসারে, কেবল কংগ্রেসই যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। যদিও জরুরি পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট এককভাবে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টিরও কিছু সদস্য এই হামলার সমালোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসি। তিনি কংগ্রেসে একটি বিল পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে বলা হবে, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক পদক্ষেপের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
রোববার ট্রাম্প “ট্রুথ সোশ্যাল” প্ল্যাটফর্মে ম্যাসিকে “নেতিবাচক শক্তি” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি রিপাবলিকান জনমতকে প্রতিনিধিত্ব করেন না।
জবাবে ম্যাসি মন্তব্য করেন, “ট্রাম্প আজ আমার বিরুদ্ধে এতটা ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন, মনে হচ্ছে যেন সেটার জন্যও কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার!”
উল্লেখ্য, শনিবার ইরানের ফোর্ডো, ইসফাহানসহ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) ট্রুথ স্যোশাল প্লাটফর্মে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালের পোস্টে লেখেন, ‘আমরা ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানসহ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘প্রাথমিক লক্ষ্যস্থলে বোমার পূর্ণ পেলোড ফেলা হয়েছে, ফোর্ডোর জন্য সব বিমান প্রস্তুত। এটি আমাদের মহান আমেরিকানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’