ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবারের (২৮ আগস্ট) ওই হামলায় আরও কয়েকজন মন্ত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে শনিবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হুতিরা। খবর আল জাজিরার।

হুতি শীর্ষ নেতা মাহদি আল-মাশাত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা প্রতিশোধ নেবো। আমাদের ক্ষতের গভীর থেকে আমরা বিজয় গড়ে তুলব।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা সানায় হুতি সরকারের “সন্ত্রাসী সামরিক লক্ষ্যবস্তু”তে আঘাত হেনেছে। তবে হুতিরা জানিয়েছে, নিহত প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়।

এর আগে, বুধবার (২৭ আগস্ট) হুতিরা দক্ষিণ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আটকায়। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর দাবি জানিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হুতিরা বারবার ইসরায়েল ও পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালিয়েছে।

হুতি প্রেসিডেন্সির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শহীদদের রক্তই হবে আমাদের প্রেরণা ও শক্তি। আমাদের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্ব পালনে অক্ষম হবে না।”

আল-মাশাত আরও বলেন, “আমরা আমাদের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার পথ অব্যাহত রাখব। গাজার জনগণের প্রতি আমাদের অবস্থান অটল থাকবে, যতদিন না আগ্রাসন শেষ হয় এবং অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।”

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই বিমান হামলায় প্রধানমন্ত্রীসহ হুতি সরকারের ১২ জন মন্ত্রীকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

গত ২৪ আগস্টও ইসরায়েলি হামলায় সানায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা হুতিদের সামরিক ঘাঁটি ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদকে লক্ষ্য করেছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই বলেছিলেন, শুধু সামরিক স্থাপনায় হামলা যথেষ্ট নয়; হুতি নেতৃত্বকেও টার্গেট করা হবে।