গাদ্দাফির থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অপরাধে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে প্যারিসের একটি আদালত। লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত তাকে ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে অবৈধ নির্বাচনী অর্থায়নসহ অন্য অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আদালত তাকে এক লাখ ইউরো (প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা) জরিমানাও করেছে। রায় ঘোষণার সময় বিচারকের বক্তব্য শুনে আদালত কক্ষে উপস্থিত অনেকেই চমকে উঠেছিলেন।
বিচারক নাথালি গাভারিনো বলেন, সারকোজি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দিয়ে লিবিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েছিলেন, যেন তারা তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আর্থিক সহায়তা পান। তবে এই অবৈধ অর্থায়নের সুবিধাভোগী সারকোজি ছিলেন এমন প্রমাণ পায়নি আদালত।
রায় ঘোষণার পর সারকোজি জানান, তিনি আপিল করবেন। আপিল করলেও তাকে জেলে যেতে হবে। তিনি বলেন, আইনের শাসনের জন্য এই রায় খুবই গুরুতর। যদি আমাকে জেলে যেতেই হয়, আমি মাথা উঁচু করে জেলে যাব।

সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০০৭ সালের নির্বাচনি প্রচারণার জন্য গাদ্দাফির অর্থ ব্যবহার করেছিলেন। এই অর্থের বিনিময়ে তিনি গাদ্দাফিকে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ভালো ভাবমূর্তি গড়তে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে আদালত এই অবৈধ অর্থের সুবিধাভোগী সারকোজি ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পায়নি।
উল্লেখ্য, সারকোজি প্রথম সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট, যিনি জেলে যাচ্ছেন। ২০১২ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই তিনি বেশ কয়েকটি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এর আগে তিনি অন্য একটি মামলায় একজন বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।