১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের ‘স্ট্যাটাস’ পুনর্বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউসের খুব কাছে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের ওপর হামলার জেরে ১৯টি দেশের স্থায়ী বাসিন্দা বা ‘গ্রিন কার্ডধারী’ সকল অভিবাসীর স্ট্যাটাস নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো এ ঘোষণা দেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এর আগে গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের খুব কাছে দুই ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যের ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এতে সারাহ বেকস্ট্রম নামে এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মারা যান। অপর সৈন্য অ্যান্ড্রু উলফ আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই হামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি ২৯ বছর বয়সী একজন আফগান নাগরিক। রহমানুল্লাহ লাকানওয়াল নামের ওই ব্যক্তিও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় আছেন।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জোসেফ এডলো ঘোষণা করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ‘উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত প্রত্যেক বিদেশির প্রতিটি গ্রিন কার্ডের সম্পূর্ণ ও কঠোর পুনঃপরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত জুনে এক নির্বাহী আদেশে ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের প্রায় সব নাগরিকের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যার মধ্যে আফগানিস্তানসহ আরও রয়েছে- মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো-ব্রাজাভিল, বিষুবীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এছাড়া ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ভ্রমণকারীদের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। দেশগুলো হলো- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
এই বিষয়ে ইউএসআইসিএসের মুখপাত্র জানান, যদিও অভিযুক্ত আফগান নাগরিককে গ্রিন কার্ড নয়, এই বছরের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রশাসন আফগানিস্তানসহ ১৯টি দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের অভিবাসন স্থিতি যাচাই করবে।
এই সিদ্ধান্ত অভিবাসন ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানকে আরও একবার স্পষ্ট করল।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক