পরস্পরকে ভোট দেননি মেসি-রোনালদো
ফুটবল দুনিয়ায় তাঁদের দ্বৈরথটা একটা মহাকাব্যের চেয়ে কম নয়। খেলাটির ইতিহাসে এর আগেও অনেক কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁরা হয়তো মেসি-রোনালদোর মানেরও ছিলেন। তবে খুব সম্ভবত একই সময়ে এমন দুজন কিংবদন্তি দেখেনি ফুটবলবিশ্ব। গোল, দক্ষতার এমন লড়াই আর কখনই দেখা যায়নি। এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের নির্বাচনে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল দুনিয়া। কেউ লিওনেল মেসিকে এগিয়ে রাখেন তো অন্যরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পক্ষে আওয়াজ তোলেন। যে যাই বলুক না কেন, অন্তত মেসি বা রোনালদো একে অপরকে সেরা মনে করেন না। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলের ফলই সেটা বলে দিচ্ছে।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এটা এখন বাসি সংবাদ। তবে নিজের দেওয়া ভোটে মেসিকেও একটি ভোটও দেননি রোনালদো। সেরা ফুটবলারের তালিকায় রোনালদোর পরেই রয়েছেন মেসি। তিনিও রোনালদোকে ভোট দেননি। ফল ঘোষণার পরপর কোন দেশের অধিনায়ক-কোচ কাকে ভোট দিয়েছেন, সেটার তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও একজন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে নির্বাচিত হয় ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার।
প্রত্যেক ভোটারই তিনজনকে ভোট দিতে পারেন। এ তিন ক্যাটাগরির ভোটাররা সর্বমোট ৪৫৯টি ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪০ জনই বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকায় প্রথম ভোটটি দিয়েছেন রোনালদোকে। ৫৭ জন পর্তুগিজ অধিনায়ককে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন। মেসি পেয়েছেন ৫৫ জনের প্রথম ভোট। আর ১৫ জন তাঁদের প্রথম ভোট দিয়েছেন নেইমারকে।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে মেসিও দিয়েছেন তিনটি ভোট। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, নিজেকে ভোট দেওয়ার বিধান না থাকায় মেসি তাঁর সেরা ফুটবলারের তালিকায় প্রথমে রেখেছেন লুইস সুয়ারেজকে। এরপর আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও তারপর রেখেছেন নেইমারকে। রোনালদো এবার সেরা তিনটি ভোট দিয়েছেন লুকা মডরিচ, সার্জিও রামোস ও মার্সেলোকে। বোঝাই যাচ্ছে, গোটা দুনিয়া তাদের সেরা মনে করলেও একে অপরকে সেরা মনে করেন না তাঁরা।

স্পোর্টস ডেস্ক