শেষের ঝড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের বড় পুঁজি

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার ম্যাচে নির্বিষ বোলিংয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। বোলারদের সাদামাটা বোলিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তান বড় রানের পুঁজিই দাঁড় করিয়েছে। মাঝে বাংলাদেশ একটু নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। কিন্তু, শেষদিকে মোহাম্মদ নবীর ঝড়ে সেসব ম্লান হয়ে গেছে। তিনশর কাছে গিয়েই থেমেছে আফগানরা।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান।
ম্যাচের প্রথম ৩০ ওভারে আফগানিস্তানের ব্যাটারদের কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেননি নাহিদ-হাসানরা। বিপরীতে তাদের শাসন করে ছুটেছেন ইব্রাহীদ জাদরান-রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।
প্রথম ৩০ ওভারে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল কেবল একটি উইকেট। ১৬ ওভারে গুরবাজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন স্পিনার তানভীর ইসলাম। ফেরার আগে গুরবাজ খেলেন ৪৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস।
একটা সময় মনে হচ্ছিল সিরিজে প্রথমবার ৩০০ রান ছুঁয়ে ফেলবে আফগানরা। শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি তারা। টপঅর্ডার ব্যাটারদের দেখানো পথে হাঁটতে পারেনি আফগানরা। নবী ছাড়া বাকিরা মোটামুটি ব্যর্থ হয়ে ফেরেন।
বাংলাদেশের হয়ে আশার প্রদীপ হয়ে দেখা দেন স্পিনার সাইফ হাসান। পরিমিত বোলিংয়ে আফগানদের চেপে ধরে পরের তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা ম্যাচে ফেরান তিনি। তার শিকার হয়ে ফেরেন সেদিকুল্লাহ অটল (৪৭ বলে ২৯), হাসমতুল্লাহ শাহিদি (১০ বলে ২) ও ইকরাম আলিখিল (১৩ বলে ২)।
বাংলাদেশের বোলারদের আফসোসের নাম জাদরান এদিনও ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে কাটা পড়েছেন নার্ভাস নাইটিতে। ৯৫ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
শেষদিকে ব্যাট হাতে আবারও হাতে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী। চার-ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান : ৫০ ওভারে ২৯৩/৯ (গুরবাজ ৪২, জাতরান ৯৫, সেদিকুল্লাহ ২৯, হাসমতুল্লাহ ২, ইকরাম ২, ওমরজাই ২১, রশিদ ৮, খারোটি ১০, গজনফার ০, নবী ৬৭*, বিলাল ০*; নাহিদ ৮.২-০-৫৬-০, হাসান ৬-০-৫৭-০, তানভীর ১০-০-৪৬-২, মিরাজ ৯.৪-০-৬৭-১, রিশাদ ১০-০-৪৩-০, শামীম ২-০-১২-০, সাইফ ৪-১-৬-৩)।