আমি চাই প্লেয়াররা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ুক : লিটন
সর্বশেষ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজেই দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে তাদের হোম ভেন্যুতে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদও উপহার দিয়েছে লিটন দাসের দল। তাদের আগে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছিল সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে।
বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি সিজিগুলোর মূল উদ্দেশ্য আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া। সেটি করতে সামনে আর ছয়টি ম্যাচ পাবে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের করে দুটি সিরিজ খেলবে লিটন-সাইফ হাসানরা।
সাধারণত অধিনায়করা দাপুটে জয় তুলে নিতে চাইলেও লিটন জানালেন ভিন্ন ইচ্ছা। আগামীকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন লিটন। সেখানে তিনি জানান, পিছিয়ে থেকে চ্যালেঞ্জ নিতে চান তিনি।
লিটন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকব, এর অর্থ… এই না যে, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো… সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, সেখানে আমাদের সাহায্য করবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বড় চিন্তার জায়গা ব্যাটিং। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে সেভাবে দায়িত্ব নিতে পারছেন না কেউ। তাওহিদ হৃদয়-জাকের আলীরা ব্যর্থ হচ্ছেন নিয়মিত। তবে লিটন তাদের পাশেই দাঁড়ালেন।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘যারাই মিডল অর্ডারে খেলছে, অনেকদিন ধরেই নিজেদের প্রমাণ করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে তারা অনেক ভালো কিছু করেছে। দু-একটা সিরিজে এটা হবেই। এটাই ক্রিকেট। বড় বড় প্লেয়াররাও ব্যর্থ হয়। আমরাও হবো। কিন্তু ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায় কীভাবে, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমার মনে হয় শিগগিরই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।’
আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পরে দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। আবারও ফিরছে টি-টোয়েন্টিতে। ফরম্যাট বদলালে মানসিকতারও পরিবর্তন হয় বলে মনে করেন লিটন।
লিটন বলেন, ‘সংস্করণ ভেদে ক্রিকেটারের মানসিকতা বলেন বা আগ্রাসনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট ভেদেও হয়, সংস্করণ ভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়রা জানে, অনেকদিন ধরে খেলছে এবং বেশিরভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।’

স্পোর্টস ডেস্ক