তুরস্কে ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯৫
তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দেশ দুটি জুড়ে চলছে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা। তুরস্কে সাহায্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কাজ। তবে এর মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আর ভবন নির্মাণে অনিয়মের কারণে গ্রেপ্তারের খবরও পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের শিকার হয়ে তুরস্কের হিসাবে ৮০ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ভয়াল এ দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ লোক।
এদিকে, এতো সব ঘটনার পর তুরস্ক সরকারের জন্য নতুন করে মাথা ব্যথা হয়ে দেখা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশ থেকে পাওয়া গেছে লুটতরাজের খবর। গিজেম নামে সেখানকার একজন উদ্ধারকর্মী এ প্রসঙ্গে বলেন ‘আমরা লুটেরাদের বেশিক্ষণ বাধা দিয়ে রাখতে পারিনি, কেননা প্রায় সবার হাতে ছিল ছুরি।’
তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন ও বিরোধী রাজনীতিকরা ধীর গতির কাজ ও অপর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীর জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন। সমালোচকরাও বলছেন ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে প্রধান ভূমিকায় থাকা দেশটির সেনাবাহিনী এবার দ্রততার সঙ্গে কাজ করছে না।
তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কিছু সমস্যা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, প্রশ্ন ওঠেছে ভেঙে পড়া পাকা ভবন নির্মাণে কতটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল সেটা নিয়েও। আদানা শহরের সরকারি কৌঁসুলিরা ভেঙে পড়া ভবনের বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে ৬২ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে দিয়ারবাকির শহরে একই অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এই তথ্য দিয়েছে।