ফ্রান্সে পেনশন সংস্কার বিরোধী প্রতিবাদ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
ফরাসি সরকারের পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে আবারও রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা। গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী আগুন ধরিয়ে ও পুলিশের প্রতি আতশবাজি ছুঁড়ে তাদের প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ এ সময় বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনো রকম ভোটাভুটি ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় রাতের মতো এই প্রতিবাদ চলছিল।
এ ঘটনায় সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দুটি প্রস্তাবও পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবটি আনেন বামপন্থি কোয়ালিশন ও স্বতন্ত্র সদস্যরা আর অন্যটি আনে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি পার্টি। ধারণা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে এর ওপর বিতর্ক হবে।
ন্যাশনাল র্যালি পার্টির নেতা মেরিন লি পেন সরকারের পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে একে ‘সরকারের পূর্ণ ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পার্লামেন্ট ভবনের কাছেই প্লেস ডি লা কনকর্ড এলাকার ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া ফ্রান্সের অন্যান্য শহর বোর্দক্স, তুলন ও স্টারবার্গেও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা আশা ছাড়িনি। এখনো আশা করছি সরকার এই সংস্কার প্রত্যাহার করে নেবে।
আরেকজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আইনসভাকে পাশ কাটিয়ে এই সংস্কারের উদ্যোগ গণতন্ত্রকে অস্বীকার করারই নামান্তর।
তবে সরকার বলছে অতিরিক্ত বোঝায় পরিণত হওয়ার আগে ও একে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করতেই পেনশন সংস্কার আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।