‘হ্যান্ডসাম’ গরিলায় মজেছে জাপানি মেয়েরা
শাবানি। বয়স ১৮। জাপানের হিগাশিয়ামা চিড়িয়াখানায় তার বাস। দেহসৌষ্ঠব, মায়াবী চাহনি আর বলিষ্ঠ অঙ্গভঙ্গি তার বিশেষত্ব। আর এ কারণেই গরিলাটিকে দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে জাপানি মেয়েরা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সয়লাব হয়ে গেছে শাবানির ছবিতে।
মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়, সিডনির তারোঙ্গা চিড়িয়াখানায় বেড়ে ওঠা গরিলাটিকে ২০০৭ সালে জাপানে নেওয়া হয়। সুদর্শন হওয়ার কারণেই সে বিপুলসংখ্যক দর্শকের মন কেড়েছে।
হিগাশিয়ামা চিড়িয়াখানার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চুনিচির খবরে বলা হয়, গত কয়েক দিনে শাবানিকে দেখতে মেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষত, টুইটারে ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
এক টুইটবার্তায় একজন দর্শনার্থী লেখেন, সে ‘খুবই হ্যান্ডসাম’। এমনকি তাকে ইকম্যান (সুদর্শন পুরুষ) হিসেবেও পরিচিত করানো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার তারোঙ্গা চিড়িয়াখানার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অ্যালান শিমট বলেন, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে দুই বছর বয়সী শাবানিকে নেদারল্যান্ডস থেকে মা-বাবার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আনা হয়।
গরিলাটির জনপ্রিয়তা নিয়ে বিস্মিত কি না—জানতে চাইলে শিমট বলেন, ‘না, কারণ জাপানিরা পাগলাটে...তারা খ্যাপাটেপনা পছন্দ করে।’
‘আমি বলব, বেশির ভাগ লোকই তাকে টগবগে মনে করছে,’ যোগ করেন শিমট।
শিমট ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়াকে জানান, ২০১৫ সালে শাবানি জনপ্রিয় হয়েছে, ব্যাপারটি এমন নয়। ২০০৭-এ নাগোয়ায় নেওয়ার পর তার চমৎকার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় থেকে সে জনপ্রিয়।
তারোঙ্গা চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা বলেন, তিনটি স্ত্রী গরিলাকে সঙ্গ দিতে জাপানে নেওয়া হয় শাবানিকে। তার সুস্থ দুটি ছেলেসন্তান আছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম রকেট নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবরে বলা হয়, ২০০৭ সালে শাবানিকে জাপানে আনা হলেও সম্প্রতি সে জনপ্রিয় হয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত কোনো কোনো ছবির ক্যাপশনে তাকে ‘হট’ (আবেদনময়) কিংবা ‘টু হ্যান্ডসাম’ (অতি সুদর্শন) বলা হয়েছে।