জীবন্ত কবরের আটদিন পর শিশু জীবিত উদ্ধার
জন্মের চারদিন পরই তার স্থান হয়েছিল অন্ধকার কবরে। ‘অপরাধ’ ঠোঁটকাটা। বিকলাঙ্গ ছেলে সন্তানের ব্যয়ভার গ্রহণ করতে পারবেন না বলে তাকে বাক্সে ভরে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন এক দম্পতি। আটদিন পর কবর থেকে জীবন্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চীনের গুয়ানঝিতে এ ঘটনা ঘটেছে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শিশুটির দাদি-নানিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, চীনে বিকলাঙ্গ শিশুদের চিকিৎসা ও পড়ালেখা ব্যয়বহুল। অনেক বাবা-মা এই ব্যয়ভার বহন করতে পারেন না। তাই অনেকেই তাদের সন্তানদের ফেলে চলে যান।
গার্ডিয়ান জানায়, জন্মের চারদিন পর ওই শিশুকে তার বাবা-মা চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়ানঝি প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে একটি কাগজের বাক্সে ভরে কবর দেয়। ওই বাক্সে পানি ও বাতাসের ব্যবস্থা ছিল। কবর দেওয়ার সময় তাদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দেখতে পান। কিন্তু তাঁরা ভেবেছিলেন শিশুটি মারা গেছে।
টুইটারের চীনা সংস্করণ সিনা উইবোতে রাষ্ট্রপরিচালিত সিসিটিভির পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি শুস্ক স্থানে শিশুটিকে কবর দেওয়ার পর ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবারের এই পোস্টে জানানো হয়, পাহাড়ের পাশে কবরস্থানে তৃণলতা সংগ্রহের সময় স্থানীয় এক নারী শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান। তখন খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল শিশুটিকে উদ্ধার করে। গত সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসকরা যখন তাকে পরীক্ষা করেছিলেন, তখন তার মুখ দিয়ে মাটি বের হচ্ছিল বলে গুয়ানঝি অনলাইন নিউজ জানিয়েছে।
স্থানীয় সরকারের গণমাধ্যম বিভাগের কর্মকর্তা ঝেং বলেন, ছেলেশিশুটির দাদি-নানিসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি মারা গেছে ভেবে শিশুটিকে কবর দেওয়া হয়েছিল।
ঝেং আরো বলেন, জন্মের চারদিন পর শিশুটিকে তারা কবর দেয়। তবে শিশুটি কতদিন কবরে ছিল এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়। এ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শিশুটি মাটির নিচে আটদিন ছিল। খাবার ছাড়া ১০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পক্ষেই কঠিন। কিন্তু একটি নবজাতকের জন্য তা বিস্ময়কর।