জাপানে ৫০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৭০ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওইটায় ৫০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় ১৭০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের বরাত দিয়ে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে এখনও লড়াই করছেন। আগুনের শিখা আবাসিক এলাকা পেরিয়ে পাহাড়ি বনেও ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে লাগা আগুনের ভিডিওতে দেখা যায়, দমকলকর্মীরা প্রবল শিখার দিকে পানি ছুঁড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন, আর স্থানীয়দের দ্রুত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এক বাসিন্দা এনএইচকে-কে বলেন, আগুন এমনভাবে আকাশ লাল করে তুলছিল যে ভয়েই শরীর কাঁপছিল। এত বড় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে—কখনও ভাবিনি। আরেকজন বলেন, এত উঁচু আগুনের আকার জীবনে দেখিনি।
স্থানীয় সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, ১৭০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮৮ জনকে ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এনএইচকে জানায়, নিখোঁজ ৭৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির খোঁজে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওইটার মেয়র শিনিয়া আদাচি বলেন, আগুনের উৎস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে বুধবারের মধ্যেই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে পারে। তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
এনএইচকে জানায়, দীর্ঘ শুষ্ক আবহাওয়া, কম বৃষ্টি ও ঘনবসতিপূর্ণ কাঠের ঘরবাড়ি অগ্নিকাণ্ড দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, জাপানের এই অগ্নিকাণ্ডটি দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ১৯৭৬ সালের সাকাতা শহরের অগ্নিকাণ্ডের পর সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এর আগে ২০১৬ সালে নিগাতা প্রদেশের ইতোইগাওয়া শহরে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪৭টি ভবন ও প্রায় ৪০ হাজার বর্গমিটার এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক