পাপুয়া নিউগিনিতে সহিংসতায় নিহত ১৫, দমনে কঠোর হুঁশিয়ারি
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী দেশের চলমান অরাজক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন ভবনে ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে লুটতরাজ চালায়। এসব ঘটনায় দেশটিতে ১৫ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। খবর এএফপির।
দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে একদল সৈন্য, পুলিশ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীরা সরকার বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করলে ছড়িয়ে পড়ে এই সহিংসতা। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে সংঘাত।
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে অরাজক পরিস্থিতির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
জেমস মারাপে বলেন, ‘আজ আমি কথা বলতে চাই জনসাধারণের সঙ্গে, দেশের মানুষের সঙ্গে। এটা যেমন আমার দেশ তেমনি তা আপনাদেরও। আইন ভেঙে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।’
দেশটির পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং জানান, ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া পোর্ট মোরেসবি হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ২৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও ছয়জন চিকিৎসা নিয়েছেন ছুরিকাহত হওয়ার পর।
পোর্ট মোরেসবিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, লুটেরাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে।
এছাড়া বেইজিং পাপুয়া নিউগিনির সরকারের কাছে তাদের মালিকাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর অভিযোগ জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত পাপুয়া নিউগিনি মেলানেশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল দেশ। এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, স্বর্ণ ও খনিজ পদার্থের বিপুল সম্ভার। প্রায় ৯০ লাখ লোকের এই দেশটির ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক