বাইডেনের শাসনামলে মুদ্রাস্ফীতিতে দেশ ধ্বংস হচ্ছে : ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হওয়ায় এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, বাইডেনের শাসনামলে দেশ ধ্বংস হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে) মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী বাইডেনের সমালোচনা করে এ কথা বলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। খবর এএফপির।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সংবাদমাধ্যম সিএনএনের স্টুডিওতে আয়োজিত বিতর্কে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার জন্য বাইডেনের খারাপ কর্মকাণ্ড দায়ী। তিনি ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছেন না। তিনি ঠিকভাবে দেশ চালাতে ব্যর্থ।’
জবাবে বাইডেন বলেন, তার নেতৃত্বের কারণেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে শ্রমিক শ্রেণির জনগণের জন্য আরও কিছু করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটি বিবেচনা করতে হবে। অর্থনীতির পতন ঘটেছিল। করোনা মহামারির কারণে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।’
ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান বহুজাতিক বিশ্লেষণ ও উপদেষ্টা সংস্থা ‘গ্যালাপের’ সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, দেশটির বাসিন্দারা গত তিন বছরে মুদ্রাস্ফীতি বা জীবনযাত্রার ব্যয়কে তাদের পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গ্যালাপের আরেকটি জরিপ থেকে জানা যায়, ৪৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন জনগণ বলেছেন, তারা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে ট্রাম্পের প্রতি আস্থা রাখছেন, বাইডেনের ক্ষেত্রে তা উদ্বেগজনক।
এদিন বাইডেন ও তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প বিতর্ক মঞ্চে উঠে প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কে অংশ নিয়েও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে করমর্দন করেননি দুজন। এরপর দুজনকে বিতর্কের নিয়ম বলে দেন সঞ্চালক। আগের বিতর্কগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি থাকলেও এবার তেমনটা হচ্ছে না। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি দেখার সুযোগ নেই। বাইডেনের প্রচার শিবিরের অনুরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবারের বিতর্কে একজনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ থাকছে। ২০২০ সালে বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।