টিকটক অ্যাপ বিক্রিতে বাধ্য করতে আইন প্রয়োগের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
জনপ্রিয় অ্যাপ ‘টিকটক’কে বিক্রি করতে বাধ্য করতে বা যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে যে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, সেটি মুক্তবাক সম্পর্কিত প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন; ওয়াশিংটন ফেডারেল কোর্টে টিকটক কর্তৃপক্ষের এমন দাবির প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই আইনটির প্রয়োগ করা হয়েছে, বাক স্বাধীনতা রুখতে নয়। পাশাপাশি বলা হয়েছে টিকটকের প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স এক্ষেত্রে প্রথম সংশোধনীর অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের ডাটা সংগ্রহ করে এই প্লাটফর্মের কন্টেন্ট প্রসারে বা সেগুলো সেন্সর করার জন্য চীনা সরকারের চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে পারে বাইটড্যান্স।
জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই আইনের লক্ষ্য হলো যুবা বয়সী ও বৃদ্ধসহ যারা এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রাহকরা আস্থা রাখতে চান যে তাদের শেয়ার করা তথ্য চীনা সরকারের কাছে যাবে না এবং চীনা সরকারের সেন্সরের শিকার হবে না।’
জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট টিকটক কর্তৃপক্ষের সিভিল স্যুইটের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে যে, বিদেশি মালিকানাধীন টিকটকের ক্ষেত্রে প্রথম সংশোধনী প্রযোজ্য হবে না।
তবে টিকটকের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয় যে, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রথম সংশোধনী থেকে বিচ্যুতির এই দাবি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
টিকটককে চীনা নয় এমন মালিকপক্ষ খুঁজে নিতে অথবা যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে- এমন বিধান রেখে এ বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি বিলে সই করেছেন। এতে টিকটক কর্তৃপক্ষকে ২০২৫ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে হোয়াইট হাউস চাইলে তা আরও ৯০ দিন বাড়িয়ে নিতে পারবে।
সিভিল স্যুইটে টিকটক ও বাইটড্যান্স বলেছে, এই বিলের মাধ্যমে বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্লাটফর্মের অনন্য ব্যবহারকারীরা জাতিগতভাবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে।