সুইং স্টেটে ভোট চাইতে ট্রাম্প ও কমলার কথার লড়াই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জমজমাট প্রচারণায় সুইং স্টেটগুলোতে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প একে-অন্যকে কথার তীরে বিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন। নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তাদের মধ্যে কথার লড়াই ততই বেড়ে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
যদিও আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, তবে তার আগেই ইতোমধ্যে সাত কোটিরও বেশি ভোটার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এই সংখ্যা ২০২০ সালের মোট ভোটের প্রায় ৪৫ শতাংশ। মতামত জরিপে দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস সমান তালে এগিয়ে আছেন আর যার অর্থ দাঁড়ায় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সাত সুইং স্টেটের ফলাফলই নির্ধারণ করতে যাচ্ছে কে হবেন বিজয়ী।
গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুই প্রার্থীই সারাদিন কাটান নির্বাচনি প্রচারণায়। কমলা হ্যারিস উইসকনসিনে প্রচারণার অংশ হিসেবে ইউনিয়ন হল পরিদর্শন করেন আর তার পাশের রাজ্য মিশিগান সফর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিশিগানের ওয়ারেনে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘গত চার বছরে আমরা যে লড়াই করেছি, তা আগামী চার দিনে গিয়ে শেষ হবে।’
শুক্রবার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মিলাওয়াউকির কয়েক মাইল ব্যবধানের দূরত্বে সমাবেশে যোগ দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সময় বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অর্থ চাই না, আমি আপনাদের ভোটটি চাই।’
এখান থেকেই এই গ্রীষ্মে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার পেনসিলভানিয়ায় আততায়ীর হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার কয়েকদিন পরেই এখানে তিনি তার সেই যুগান্তকারী বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, এই জুলাইয়ে নির্বাচনি দৌড়ে আসেন কমলা হ্যারিস। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে জো বাইডেন সরে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হন কমলা হ্যারিস। শুক্রবারের নির্বাচনি প্রচারণায় তার সঙ্গে যোগ দেন স্টার র্যাপার কার্ডি বি। উইসকনসিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সহিংস বক্তব্য’ প্রদানের অভিযোগ আনেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনায় এক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, পেনসিলভানিয়ায় ভোট কারচুপি হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মতোই যদি ফলাফল হয়, তবে তিনি তা মেনে নেবেন না।
এসব ছাপিয়ে সাবেক রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে চেনিকে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য সবাইকে নাড়া দেয়। তিনি চেনিকে একজন যুদ্ধবাজ হিসেবে অভিহিত করেন। এমনকি তাকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করানোর কপট হুমকিও দেন।
তবে কমলা হ্যারিস চেনিকে ‘সত্যিকারের দেশপ্রেমিক’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ট্রাম্প প্রতিশোধ নিতে আওতার বাইরে চলে গেছেন।