ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক খোলা একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মানবিক সাহায্য বিতরণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
খাদ্য সংকটে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা যখন সাহায্য খুঁজছে, তখন জাতিসংঘ সতর্ক করেছে বলেছে, ‘দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের জানালা দ্রুত বন্ধ হয়ে আসছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ২৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক লাখ ২৩ হাজার ৪৯২ জন আহত হয়েছেন।
সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ২২টি অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে, যা ইতিহাসে এককালীন সর্বোচ্চ অনুমোদন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে পরিচালিত হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দী করা হয়েছিল। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে, যার ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণের প্রচেষ্টা মারাত্মক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সরবরাহ পৌঁছাতে এবং বিতরণ করতে বাধা দিচ্ছে, প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য একটি ক্রসিং পয়েন্টে আটকে আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল উত্তর গাজার শেষ কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, যদিও সেখানে এখনও কয়েক ডজন রোগী অবস্থান করছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল হামাসকে দেওয়া নতুন গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘স্বাক্ষর’ করেছে। তবে ফিলিস্তিনি দলটি জানিয়েছে, তারা পরিকল্পনাটি পর্যালোচনা করছে।