মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের নীতিগুলোর প্রভাব ও বর্তমান আর্থিক বাস্তবতা নিয়ে ভোটারদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তারই ধারাবাহিকতায় বেশিরভাগ ট্রাম্পের ভোটার শুল্ককেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

তারা বলছেন, শুল্কের প্রভাব কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে ৪০১(কে) অবসর তহবিলসহ বিনিয়োগের ওপরও পড়ছে। যদিও অনেকেই এখনও ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন, তবে সব নীতিতে নয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে তাদের অনুভূতি জানার চেষ্টা চলবে।

কর পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের নতুন কর পরিকল্পনা দেশের সম্পদকে তরুণদের কাছ থেকে প্রবীণদের দিকে সরিয়ে নেবে। যদিও “বিগ, বিউটিফুল বিল” নামে খ্যাত প্রস্তাবে শিশু, নতুন বাবা-মা, প্রাইভেট স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কর ছাড় রয়েছে, তবে বিশাল বাজেট ঘাটতির কারণে এই সুবিধাগুলো হারিয়ে যাবে।

পেন-হোয়ারটন বাজেট মডেলের হিসাব অনুযায়ী, একজন ৪০ বছর বয়সী গড় আয়ের মানুষ এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে আজীবনে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ ডলার ক্ষতিতে পড়বেন। কিন্তু সমপরিমাণ আয় থাকা ৭০ বছর বয়সী কেউ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ ডলার বেশি পেতে পারেন।

তেল বাজারে স্থিতিশীলতা

এদিকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক্সটিবির ক্যাথলিন ব্রুকস বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দামের উদ্বেগ বিনিয়োগকারীদের তেমন ভাবাচ্ছে না, বরং শেয়ারবাজারে ইতিবাচক গতি অব্যাহত রয়েছে।