গাজার পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

গাজার মানুষের দুর্ভোগ ও অনাহার দূর করতে এবং নিরীহ জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। এক বিবৃতিতে তিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আলবানিজ তার বিবৃতিতে বলেছেন, পানি ও খাবারের সন্ধানে থাকা শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকে কোনোভাবেই প্রতিহত বা উপেক্ষা করা যাবে না।
এদিকে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফ্যাম এই সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি এই অঞ্চল এখন রোগের এক পেট্রি থালা (রোগের আঁতুড়ঘর) হয়ে উঠেছে। অথচ লাখ লাখ ডলারের মানবিক সাহায্য আশেপাশের গুদামগুলোতে আটকা পড়ে আছে, যা গাজায় পৌঁছাতে পারছে না।
অক্সফ্যাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত তিন মাসে গাজার অভ্যন্তরে প্রতিরোধযোগ্য ও সহজেই চিকিৎসাযোগ্য জলবাহিত রোগ প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য বন্ধ করে দিচ্ছে।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অক্সফ্যাম জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে তীব্র পানিবাহিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া, রক্তাক্ত ডায়রিয়া ৩০২ শতাংশ ও তীব্র জন্ডিসের ঘটনা ১০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অক্সফ্যাম সতর্ক করে বলেছে, রোগের এই তীব্রতা দ্রুত মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনিরা ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য, পানি, আশ্রয় ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯ হাজার ৫৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৯৮ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়েছিল।