কলকাতায় প্রবল বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু

কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা বেড়িয়াপুকুর, কালিকাপুর, নেতাজিনগর, গড়িয়াহাট ও একবালপুর এলাকার বাসিন্দা। শহরের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটে। খবর এনডিটিভির।
রাতভর প্রবল বর্ষণে শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত ও ট্রাফিক চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। মেট্রো ও শহরতলির রেল সেবাতেও এর প্রভাব পড়েছে। অনেক নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসবাবপত্র। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কলকাতা সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গড়িয়া কামডাহারি এলাকায় ৩৩২ মি.মি., যোধপুর পার্কে ২৮৫ মি.মি., কালীঘাটে ২৮০ মি.মি., টপসিয়ায় ২৭৫ মি.মি. এবং বালিগঞ্জে ২৬৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টি হচ্ছে এবং আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির এই দাপট কলকাতার দুর্গাপূজা আয়োজনকে শঙ্কায় ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে দর্শনার্থীরা যে প্যান্ডেলগুলো দেখতে আসেন, তার অনেকগুলোই প্রায় প্রস্তুত। আয়োজকদের আশঙ্কা—অবিরাম বৃষ্টিতে মাসের পর মাসের প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কলকাতা বিমানবন্দরেও পানি জমে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। রানওয়েতেও জলাবদ্ধতার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এ অবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো যাত্রীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “প্রবল বর্ষণের কারণে আজ কলকাতাগামী ও কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। যাত্রীরা ওয়েবসাইটে ফ্লাইট স্ট্যাটাস দেখে যথাসময়ে বাড়তি সময় হাতে নিয়ে রওনা দিন।”

ইন্ডিগো তাদের পরামর্শে বলেছে, “আবহাওয়ার কারণে আজ কলকাতায় ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। যাত্রীরা অতিরিক্ত সময় নিয়ে বিমানবন্দরের পথে বের হন।”
এমন পরিস্থিতিতে শহরে আগত দেশি-বিদেশি যাত্রীদের জন্যও দুর্ভোগ ডেকে এনেছে, যারা দুর্গাপূজার উৎসবে অংশ নিতে কলকাতায় আসছেন।