যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিক্ষিপ্ত হামলায় ফিলিস্তিনিদের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বেশ কয়েকজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর আলজাজিরার।
নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের সূত্র অনুসারে, খান ইউনিসের পূর্বে ইসরায়েলি গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিক্ষিপ্ত হামলায় আরও কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর বিক্ষিপ্ত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) গাজা শহরের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ খান ইউনিসে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করা কমপক্ষে ৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
এদিকে, হামাস বুধবার (১৫ অক্টোবর) আরও চারজন ইসরায়েলি ব্যক্তির মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর ফলে মোট মুক্তিপ্রাপ্ত মৃত বন্দির সংখ্যা আটজনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মরদেহ পরিবার কর্তৃক শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চতুর্থ মরদেহটি কোনো রেকর্ডকৃত বন্দির সঙ্গে মেলে না।
ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় ত্রাণ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে। তবে, মৃত বন্দিদের ধীরগতিতে মুক্তির কারণ দেখিয়ে তারা রাফাহ ক্রসিং খোলার ক্ষেত্রে বিলম্ব করেছে। প্রায় ২০টি মরদেহ এখনও গাজায় রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬৭ হাজার ৯৩৮ জন নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজার ১৬৯ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মোট এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।