ডেটিং অ্যাপে যেভাবে পরিচয় হয়েছিল মামদানি-রামার
দীর্ঘদিন পর আবারও নতুন ফার্স্ট লেডি পাচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের দাপ্তরিক বাসভবন গ্রেসি ম্যানশন। সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়া মুসলিম ডেমোক্রেট নেতা জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ার পর, সবার দৃষ্টি এখন তার স্ত্রী রামা দুয়াজির দিকে। সিরীয় বংশোদ্ভূত এই নারী আমেরিকান শিল্পী ও চিত্রকর। খবর নিউইংর্ক পোস্টের।
রামা দুয়াজি হিউস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পরিবার দ্রুতই মধ্যপ্রাচ্যে, তাদের নিজ দেশ সিরিয়ার কাছাকাছি দুবাইয়ে চলে যায়। ফলে রামার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটে সেখানেই।
আরও পড়ুন : নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানি
একবার এক পডকাস্টে রামা জানান, ছোটবেলায় তিনি প্রায়ই সিরীয় পরিচয় লুকিয়ে রাখতেন এবং নিজেকে আমেরিকান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। পরে তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ দ্য আর্টসে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। এই উপলব্ধি তাকে তার নিজের পরিচয় ধরণ করতে গভীরভাবে উৎসাহী করে তোলে। এরপর থেকেই তার শিল্পকর্মে সিরীয় জীবনধারার বিভিন্ন পরিচিতি উঠে আসে।
আরও পড়ুন : জোহরান মামদানির স্ত্রী কে এই রামা দুয়াজি?
রামা ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে নিউইয়র্ক সিটিতে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই ডেটিং অ্যাপ ‘হিংজ’-এর মাধ্যমে তার সঙ্গে জোহরান মামদানির পরিচয় হয়। রামা দুয়াজি একজন শিল্পী হলেও প্রথম দিকে স্বামীর নির্বাচনি প্রচারণার আড়ালে ছিলেন। যখন জোহরান মামদানিকে নিয়ে কথা উঠে যে, তিনি তার বিয়ে ও স্ত্রীর বিষয়টি গোপন রাখছেন। তখন মামদানি নিজেই ইনস্টাগ্রামে রামার ছবি পোস্ট করে জানান, চলতি বছরের এপ্রিলে সিটি ক্লার্কের অফিসে তাদের বিয়ে হয়েছে।
আরও পড়ুন : মেয়র নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশে মামদানির কড়া বার্তা
দুয়াজি শিল্পকর্মের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক অবস্থানও তুলে ধরেন। তিনি ফিলিস্তিনি কৃষকদের ওপর ইসরায়েলের পরিবেশগত যুদ্ধের চিত্র এঁকেছেন এবং আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক